বগুড়া থেকে নিখোঁজের ২৩ দিন পর ঢাকায় লাশ উদ্ধার, গ্রেফতার ৩
বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা থেকে অপহরণের ২৩ দিন পর নিখোঁজ হওয়া পান ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন (৪৮) এর গলিত মরদের আশুলিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মোফাজ্জল শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের লক্ষীপুর চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা৷
শুক্রবার দুপুরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঢাকার আশুলিয়া থানার মারামাং এলাকার একটি কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের ভাসুবিহার গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রুবেল (৩০) ইসাহাকের ছেলে মিলন (৪৫) ও মৃত অমির উদ্দিনের ছেলে সামাদ (৫০)।
শিবগঞ্জ থানায় নিহত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী রাশেদা বেগমের দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী গত ১৯ আগস্ট নিখোঁজ হন। পান ব্যবসার সুবাধে জেলার ভিতরে ও বাহিরে বিভিন্ন স্থানে তা ক্রয়ের জন্য তিনি যাতায়াত করতেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন সকালে তিনি পান কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত আনুমানিক ৯ টায় মুঠোফোন এ তার স্ত্রীকে জানায় তিনি মোকামতলা বাজারে আছেন, এরপর থেকে মোফাজ্জল হোসেনের সাথে আর কোন যোগাযোগ হয় না। তার মোবাইল বন্ধ থাকে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তাকে না পেয়ে গত ২৩ আগস্ট শিবগঞ্জ থানায় জিডি করেন তার স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মোফাজ্জলের সাথে ওই গ্রামের রুবেলের সাথে তার স্বামী বেশি সময় কাটাতেন। ঘটনার পর থেকে রুবেল ও এলাকায় ছিল না। ৯ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট থেকে রুবেল গ্রামে আসলে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবেল স্বীকার করে পাওনা টাকা যাওয়া মোফাজ্জলকে খুন করেছে তারা। ১৯ আগষ্ট পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোফাজ্জলকে ডেকে নিয়ে মোকামতলা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আশুলিয়ার কাঁশবনে গলা কেটে মোফাজ্জলকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দিয়ে আসে।
পুলিশ আরও জানায় রুবেলের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাকি দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমরা আইনগত সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি৷