প্রধান খবরবগুড়া জেলাশিবগঞ্জ উপজেলা

বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার ওই পরিবারকে ভিক্ষাবৃত্তির অবসান ঘটাতে তিনি গুজিয়া বাজারে একটি মুদি দোকান, পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক ও এক মাসের খাদ্য সামগ্রী উপহার দেন।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ বছর বয়সী ছোট সন্তান আলামীনের মাথা, ১৩ বছরের অন্যন্যা এবং ১১ বছরের রায়হান কবিরের পায়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বস্ব বিক্রি করে পথে বসেছিলেন ভ্যানচালক বাবা নুরুল ইসলাম। এজন্য ভিটামাটি হারিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানিচুকাই নগর ছেড়ে শিবগঞ্জের গুজিয়া বাজারের পাশে ছোট টিনের ছাপড়া ঘরে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেয় তারা।সন্তানদের চিকিৎসা ব্যয় ও খেয়ে-পড়ে বাঁচতে অসুস্থ শিশুদের নিয়ে এলাকায় পাড়া-মহল্লায় ভিক্ষা করতে থাকেন। তাদের দুর্বিষহ জীবনযাপনের সংবাদ গণম্যাধমে আসলে নজরে কাড়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর।

এরপর তিনি নিজ উদ্যোগে নূরুল ইসলামকে একটি মুদি দোকানের ব্যবস্থা করে দেন। যাতে করে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে ব্যবসা করে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে বসবাস করতে পারেন।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গুজিয়া বাজারে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রধান অতিথি হিসেবে দোকানটি উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, শিবগঞ্জ সাকের্লের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তানভীর হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজু, থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ সাবু, কিচক ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী, কনফিডেন্স পাবলিক স্কুলের পরিচালক শাহিনুর ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পাশাপাশি মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে অসহায়দের পাশে থাকবে।

পুলিশ সুপার ছাড়াও পরিবারটির প্রতি সহানভূতি হাত বাড়িয়ে দেন বগুড়ার এক শিল্পপতি।তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসা এবং স্থানীয় গুজিয়া কনফিডেন্স পাবলিক স্কুল ওই শিশুদের বিনা বেতনে পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন।
এদিকে মুদি দোকান ও আর্থিক সহায়তা পেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মরিয়ম। আর নতুন পোশাক ও পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত প্রতিবন্ধী শিশুরাও।  

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button