বিনোদন

কিংবদন্তী ববিতার জন্মদিন আজ

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী ববিতা। তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি সম্পন্ন এই অভিনেত্রী ৩০ জুলাই পা রাখলেন ৬৮ বছরে। জন্মদিনে বাংলার অগনিত সিনেমা প্রেমী মানুষের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। কিংবদন্তী এই অভিনেত্রীকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে চ্যানেল আই পরিবার। যদিও বর্তমানে তিনি অবস্থান কানাডায়, একমাত্র ছেলে অনিকের কাছে।

চ্যানেল আইয়ের সাথে ঢাকাই চলচ্চিত্রের তুখোড় এই অভিনেত্রীর সম্পর্কটা বহু পুরনো। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের বেশকিছু ছবিতেও তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এমনকি বছর কয়েক আগে শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনায় চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’-এর বিশেষ একটি পর্বে অন্য এক ববিতাকে আবিস্কার করেছেন দর্শক।

বহুদিন চলচ্চিত্র থেকে দূরে আছেন। যদিও এখনো বহু দর্শক তাকে অভিনয়ে দেখতে ইচ্ছুক। কিন্তু ববিতা কি আবারও ফিরবেন চলচ্চিত্রে?

এরআগে এমন এক প্রশ্নে চ্যানেল আই অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ‘মিস লঙ্কা’ খ্যাত অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আমি একটু অভিমান করে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে আসছি। কারণ আমরা যে সমস্ত কাজ করে আসছি এতো বছর ধরে তাতো এখনো এই বয়সে করা সম্ভব না। আর যেনোতেনো চরিত্রে যদি অভিনয় করতে বলা হয়, তাহলে ববিতা কী তাই করবে! বা আমরা যারা সিনিয়র শিল্পীরা আছি তাদেরকে যে চরিত্রে বলবে তাই করতে পারি? সিনিয়ররা কি যেনোতেনো চরিত্র করবেন? নিশ্চয় করা উচিত হবে না। বরং তার চাইতে আমি মনে করি, দূরে সরে থাকাই ভালো। আমরা যারা আছি, তারা যদি আমাদের মতো কাজ না পাই, সেরকম ছবি, সেরকম চরিত্র, সে রকম গল্প না পাই তাহলে কি কাজ করা সমিচিন হবে? বয়স কোনো ফেক্টর না। গল্পের নায়িকা মানেই যে শুধু নাচ গান করবে, তরুণী হতে হবে তা কিন্তু না। অমিতাভ বচ্চন, রেখা তারা যে এখনো নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন তারা কি যেনোতেনো চরিত্রে অভিনয় করছেন! তো এরকম চরিত্র প্রধান গল্পতো আমাদের থাকতে হবে। না থাকলে সেটা তৈরি করতে হবে। এরকম না হলেতো আমাদের আশা করে কোনো লাভ নেই। আর আমাদের প্রাধান্য দিয়ে এরকম চরিত্র তৈরি করলে আমরা অবশ্যই ছুটে আসবো। সেরকমতো হয় না, হচ্ছে না।”

ববিতার পুরো নাম ফরিদা আক্তার ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় জন্ম নেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন ববিতা। চলচ্চিত্রে তাঁর শুরুটা হয়েছিল গত শতকের ষাটের দশকের শেষ দিকে। তিনি সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন। বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button