আইন ও অপরাধ

বুয়েট ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, ইনবক্সে অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে উত্ত্যক্ত

ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে অর্ধনগ্ন ছবি, অশ্লীল ইমোজি ও ভিডিও পাঠিয়ে সহপাঠীকে উত্ত্যক্ত করতেন ওই শিক্ষার্থী। এ কাজে তাকে প্ররোচনা দিয়েছেন একই বিভাগের তার তিন সহপাঠী।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ বলছে, দায়ীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধ বিশ্লেষকদের দাবি, মেধাবীদের মধ্যে পারিবারিক সুশিক্ষা ও মূল্যবোধের ঘাটতির কারণেই এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।

গত মে মাসে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জারিফ হোসেন। প্রস্তাবে রাজি না হলেও ওই ছাত্রীকে নিজের অর্ধনগ্ন ছবি ও অশ্লীল ইমোজি পাঠায় জারিফ। কোনো কিছুতেই কাজ না হওয়ায় একই বিভাগের তার চার বন্ধুর প্ররোচনায় অশ্লীল ভিডিও পাঠায় জারিফ হোসেন।

ঘটনা জানাজানি হলেও বিভাগের ফেসবুক গ্রুপে বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চান জারিফ ও তার বন্ধুরা। পরে আবারো ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে জারিফ ও তার তিন বন্ধু। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ বলছে, দায়ীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ক্লাস প্রতিনিধির মাধ্যমে মেয়েটি আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। আমি উপাচার্য মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

অপরাধ বিশ্লেষকদের দাবি, পারিবারিক সুশিক্ষা ও মূল্যবোধের ঘাটতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, একাডেমিক ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো  যতোটা সক্রিয় থাকে একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ততোটা থাকে না। সামগ্রিক শিক্ষার যে আয়োজন এই জায়গাগুলোতে আমাদের যথেষ্ট ঘাটতি আছে বলেই এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।

এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে শুধু আইন প্রয়োগেই নয়, শিক্ষার্থীদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button