আবহাওয়া

দুঃসংবাদ দিলো নাসা

বন্যা-ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামি কয়েক বছরের মধ্যে নাটকীয়ভাবে বাড়বে বন্যা ও জলোচ্ছাস।

বৈশ্বিক উষ্ণতা আর চাঁদের কক্ষপথে পরিবর্তন-এ দুইয়ের প্রভাবে বাড়বে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। বিশেষ করে ২০৩০ থেকে টানা ১০ বছর ঘন ঘন বন্যার কবলে পড়বে উপকূলীয় অঞ্চল। ইউরোপের কয়েকটি দেশে নজিরবিহীন বন্যার জন্যেও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

থমাস এন্ডরল্ট নামে এক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ জানান, দুর্যোগের যে চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের পূর্বাভাসে এমনটা আরও কয়েক দশক পর হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু, পরিবেশের পুরো চক্রটাকেই আমরা এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছি যে, প্রকৃতি তার ভয়াল রূপ এখনই দেখিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, জলবায়ুর পরিবর্তন ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে আমাদের ওপর।

বৈশ্বিক উষ্ণতার পাশাপাশি, মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা নতুন দুঃসংবাদ দিয়েছে, চাঁদের কক্ষপথে পরিবর্তন নিয়ে। নাসার পূর্বাভাস, জলবায়ু পরিবর্তন আর চাঁদের অবস্থান-এই দুইয়ে মিলে ভয়াবহ এক দশক অপেক্ষা করছে পৃথিবীর জন্য।

নাসার গবেষক বেন হ্যামলিংকটন জানান, বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, এটা আগেই জানা। কিন্তু, আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, চাঁদেরও বড় একটি প্রভাব আছে এর উপর। চাঁদের এখন যে গতিপথ, তাতে এর মহাকর্ষীয় টানের কারণে দ্রুতই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আরও বাড়বে। যাতে উপকূলীয় এলাকায় ঘন ঘন বন্যা দেখা দেবে আগামী দশকে।

নাসার পরামর্শ, ঘন ঘন দুর্যোগের প্রস্তুতি নিয়েই বাঁচতে হবে উপকূলের মানুষকে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button