বগুড়া জেলা

বগুড়ায় বাড়ছে পাটচাষ

বহুমুখি ব্যবহার বাড়ায় বাড়ছে বগুড়া অঞ্চলে প্রসার ঘটছে পাটের। বাড়ছে পাট চাষ । তিন বছর ধরে ভাল দাম পাচ্ছে পাট চাষিরা।
এমন অভিমত পাটচাষি , ফড়িয়া , মহাজন ও পাট শিল্প মালিকদের।
মাঠে মাঠে চলছে পাট কাটা ও বর্ষার পানিতে পাট জাগ (পঁচানো ) দেওয়ার কাজ । হাটে বাজোরে ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে নতুন পাট। নতুন পাটের সরবরাহ না থাকায় পুরাতন পাট বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ থেকে ৩০০ হাজার টাকায় । তবে ঈদের পরে বাজারে নতুন পাট আসলে দাম নেমে আসতে পারে ২৫০০ টাকায় ।


চাষিরা জানিয়েছে , বগুড়া অঞ্চলে পাট আর এখন বিশেষ মওশুমি ফসল নয় । এটা সারা বছরই চাষ হচ্ছে শাক হিসেবে। বীজ বোনার পর মাত্র ৪৫ দিন পরেই পাটের চারা শাক হিসেবে বিক্রি করে মোটামুটি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়। অল্প সময়ে নগদ পয়সা আনার জন্য চাষিদের কাছে এটা এখন সহজ মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত হযে গেছে । সবজির বাজারে এখন তাই সারা বছর পাওয়া যাচ্ছে পাট শাক ।
এছাড়া স্থানীয়ভাবে ‘শিমটা ( পাটকাঠি ) ’ হিসেবে চিহ্নিত শুখনো পাটকাঠি ব্যাপকভাবে ব্যবহ্যত হচ্ছে সবজি ক্ষেতের বেড়া ও জাংলা তৈরির কাজে । আগে এই পাটকাঠির ব্যবহার ছিলো জ¦ালানি ও ছনের ঘরের বেড়া হিসেবে। বর্তমানে অবশ্য পেপার মিলের কাঁচামাল হিসেবে ও বেড়েছে পাটকাঠির কদর !


শস্যদানা জাতীয় পণ্যের সংরক্ষন কাজের পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতা মুলক করায় । পাটকল গুলো উপকৃত হচ্ছে। বগুড়াতেই এখন ছোট বড়ো মাঝারি সাইজের একডজন পাটকল উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে বলে জানালেন চটকল মালিক আলহাজ¦ আব্দুল গফুর । তার মধ্যে খাদ্য পন্য সংরক্ষন ও পরিবহন কাজে চটের বস্তা ও ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামুলক হওয়ায় পাট শিল্পে এক নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
বগুড়া কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আজিজার রহমান জানিয়েছেন, চলতি মওশুমে বগুড়া , জয়পুরহাট,পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ৭৭ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে । চাষ হয়েছে ৭৪ হাজার ১৬১ হেক্টর জমিতে । সবে মাত্র পাট কাটা শুরু হয়েছে । কৃষি বিভাগের আশা এ মওশুমে বগুড়া অঞ্চলের ৪ জেলায় ৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৪১ বেল পাট উৎপাদন হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button