শিক্ষা

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প ভাবছে সরকার

পরীক্ষা এক বছর না দিলে শিক্ষার্থীদের জীবনে ‘এমন কোনো বিরাট ক্ষতি’ হয়ে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সহসাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে ‘বিকল্প’ ভাবা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতির কারণে এটাও সম্ভব না হলে, বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। আমরা বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারেও ভাবছি।’

তিনি বলেন, ‘১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিও ছিল, কিন্তু সীমান্ত এলাকায় করোনা বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছি। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। অনলাইনে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি চলমান রয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে বের করার চেষ্টা করছি।’

ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় কবে নাগাদ পরীক্ষা হবে বা কীভাবে হবে তা নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা কেবলই বাড়ছে।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে উল্লেখ করে দীপু মনি।

শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্ষতিটা সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি এবং এই ক্ষতিটা সারা বিশ্বেই হচ্ছে। এই ক্ষতিটা কী করে পুষিয়ে নেওয়া যায়, সেই ব্যাপারেও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’

পরীক্ষা এক বছর না দিলে জীবনে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদেরও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে আরও কী করা যায়- সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছি আমরা।’

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ঠিক আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান। পরে অবশ্য তাদের ‘অটোপাস’ করিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।

ছুটির সময় কোনো পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড় করে।

চলতি বছরে কয়েক দফায় স্কুল ও কলেজ খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হলেও মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ১৩ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button