জাতীয়

বাজারে আসছে পাটের পলিথিন ব্যাগ

আগামী বছরের জুনের মধ্যে পাট থেকে উৎপাদিত বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন ব্যাগ বাজারজাত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য এখনো পাট থেকে বাজারজাত করার মতো বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ডের ৫৪তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাতসহ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২২ সালের জুনের মধ্যেই পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগ তৈরি করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে শাহাব উদ্দিন বলেন, পাটের বিকল্প বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিনের ব্যবহার প্রচলন করতে পারলে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৩ শত ৬২ কোটি ৩২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৭৮৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে নেওয়া এসব প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

এছাড়াও দেখুন
Close
Back to top button