আবহাওয়া

দেশের ১৫টি জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা

দেশের ১৫ জেলা কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টির মুখে পড়তে যাচ্ছে।

রোববার (২ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

তারা বলছে, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, ঝিনাইদহ, যশোর, কুষ্টিয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ অঞ্চল বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।

আজ বছরের প্রথম শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে
চলতি বছরের প্রথম কোনো শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় আজ রবিবার আঘাত হানতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসের তথ্য জানাতে গিয়ে গতকাল শনিবার (১ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, চলতি বছর কমবেশি অনেক কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। তবে রবিবারের কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতা অনেক বেশি থাকবে। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের বেশি গতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের তিনটি শ্রেণিভাগ রয়েছে। ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতি হলে দমকা হাওয়া, ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতি হলে ঝোড়ো হাওয়া এবং ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের বেশি হলে কালবৈশাখী ঝড় বলা হয়। যদিও সবগুলোকেই আবহাওয়ার ভাষায় কালবৈশাখী ঝড় হিসেবে ধরা হয়।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সাধারণত রবিবার দুপুর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে। তবে কোনো কোনো এলাকায় সকালেও ঝড় বয়ে যেতে পারে। মূলত কালবৈশাখী ঝড়ের গতিবিধি অনেক আগে থেকে নির্ণয় করা যায় না।

এদিকে সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ও বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, নেত্রকোনা, রাজশাহী, পাবনা এবং পটুয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, সিলেট ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কোন কোন স্থানে প্রশমিত হতে পারে।

এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বাতাসের দিক ও গতি ছিল দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার ও অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।

আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে ২৩ মিলিলিটার। সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button