বগুড়া

করোনা সংক্রমণ রোধে বগুড়া জেলা প্রশাসনের ১৮ নির্দেশনা

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য (১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত) বগুড়ায় সব ধরনের সমাবেশ বন্ধসহ ১৮টি নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বগুড়া জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বগুড়া জেলা প্রশাসন ১৮ নির্দেশনা হলো- জেলার সব ধরনের সমাবেশ যেমন-সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্ম (ইসলামিক জলসা, নামযজ্ঞ, প্যাগোডায় প্রার্থনা, সভা-সমিতি ইত্যাদি) আয়োজন আগামী ১৫ (পনের) দিনের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ রাখাতে হবে।

মসজিদ, মন্দিরসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে নামাজ এবং প্রার্থনাকালে তিন ফুট দূরে অবস্থান এবং মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইমামরা এবং সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় উপাসনালয় কমিটিকে বিশেষ অনুরোধ করা হলো।

পর্যটন, বিনােদনকেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার বন্ধ রাখতে হবে এবং সব ধরনের মেলা আয়োজন বন্ধ থাকবে।

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত রাখতে হবে।

বিদেশফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

নিত্যপ্রয়েজনীয় দ্রব্যসামগ্রী খোলা ও উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে।

স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।

জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। অপ্রয়েজনীয় ঘোরাফেরা/ আড্ডা বন্ধ থাকবে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।

অতি প্রয়োজনে বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে মাস্ক না পরলে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

করোনায় আক্রান্ত/করোনার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ৫০ শতাংশ লোকবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে।

অন্তঃসত্ত্বা, অসুস্থ, ৫৫ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তিদের বাসায় থেকে কাজের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে।

সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যেকোন ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

হোটেল, রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে।

কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবস্থানের পুরোটা সময়ই বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button