আন্তর্জাতিক খবর

হরিণ হত্যা মামলায় আবারও আদালতমুখী সালমান খান

২২ বছরের বেশি সময় পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারপরেও যোধপুরে সালমানের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার সমাধান হচ্ছেন না। গত শনিবার (১৬ জানুয়ারি) শুনানির জন্য আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল বলিউড ভাইজানের। কিন্তু নির্দেশ না মেনে আদালতে উপস্থিত হননি তিনি। যার ফলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি আবার তাকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৮ সালে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। বিরল প্রজাতির এই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

মূলত শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সালমান। যেই গাড়িতে আরো ছিলেন টাবু, সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে সহ আরো অনেক। সেই গাড়ির মধ্যে থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সালমান। সেসময় গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সালমান চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান তারা। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা।

এরপরই সালমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়। এই মামলায় পাঁচ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা হয় অভিনেতার। তবে ২০১৮ সালে যোধপুর দায়রা আদালত ব্যক্তিগত ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করে। ফলে দুই রাত জেল খেটেই বেড়িয়ে আসেন তিনি। তারপর থেকে জামিনেই তিনি জেলের বাইরে রয়েছেন।

এদিকে এই সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যোধপুর নগর দায়রা আদালতে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে যতবার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ততবারই সালমান খান বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে উপস্থিত হননি।

গেল বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতের কার্যক্রম দীর্ঘসময় সীমিত আকারে চলায় আদালতে হাজিরা দেননি সালমান, এমনটাই জানিয়েছেন সালমানে আইনজীবী। তবে ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ বার আদালতের শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় বেশ চটেছেন আদালত কতৃপক্ষ। এদিন বিচারপতি দেবেন্দ্র কাচাওয়াহা জানান, এবার সালমানকে আদালতে উপস্থিত হতে হবেই।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button