আইন ও অপরাধবগুড়াশেরপুর উপজেলা

বগুড়ায় ফরিদুল হত্যা মামলার রহস্য ৭ দিনেই উম্মোচন করতে সক্ষম পুলিশ-গ্রেফতার ৫

বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা ইটালী মধ্যপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম (৪৮) হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত ০৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইয়া। তিনি আরো জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরােধ এবং টাকা পয়সা লেনদেনের দেনা-পাওনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে।

আজ দুপুর ১২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এসব কথা জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন হলদিবাড়ী আটাপাড়া গ্রামের মৃত মান্নান মন্ডলের পুত্র মােঃ ওমর ফারুক (৩৫), ইটালী মধ্যপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের পুত্র মাে. ফারুক আহমেদ (৩০), একই গ্রামের মৃত রসুল প্রাং এর পুত্র আঃ রাজ্জাক (৫৮), মৃত কেরামত আলীর পুত্র মােঃ জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী মােছাঃ শাপলা খাতুন (৩৫)।

উল্লেখ্য যে, মােঃ ওমর ফারুক ভিকটিম ফরিদুলের সং শ্যালক, ফারুক আহম্মেদ ভিকটিমের আপন ভাতিজা, মােঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ও মােছাঃ শাপলা খাতুন ভিকটিমের আপন ছােট ভাই ও ভাই বৌ এবং আব্দুর রাজ্জাক ডিকটিমের চাচা।

এর আগে গত ০৫ জানুয়ারী সন্ধ্যার সময় নিজ বাড়ীতে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হন ইটালী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত কেরামত আলীর পুত্র রড় ও সিমেন্ট ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম (৪৮)। ফরিদুল ইসলাম ব্যবসার পাশাপাশি একজন কৃষকও। মায়ের জমি-জমা নিয়ে ফরিদুলের অন্যান্য ভাইদের সাথে দ্বন্দ ছিল।

ঘটনার পর পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইয়া এর দিক নির্দেশনায় শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার৷ গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম,
ইন্সপেক্টর মােঃ আবুল কালাম আজাদ ও মামলার তদন্তকারী অফিসার সাচ্চু বিশ্বাস বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদুল হত্যার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হন। এরপর সন্দেহভাজন ওমর ফারুকের ফোন থেকে হঠাৎ গত ০৮ তারিখ সকাল ১০.০০ টায় তার স্ত্রীর ফোনে ফোন আসে। অপরিচিত কন্ঠে বলে উঠে “তোর স্বামীর আহছে নেয়, আর কোনদিন দেখতে পাবি না পাশে থেকে ওমর ফারুক বলতে থাকে আমাকে মাইক্রোতে করে হাত, পা,চোখ বেধে তুলে নিয়ে যচ্ছে। বিষয়টি ওমর ফারুকের স্ত্রী তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানালে পুলিশ তার ওপর গােয়েন্দা নজরদারি করতে থাকে।পারে গতকাল সকালে ওমর ফারুককে মানিকগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। তার স্বীকারােক্তির ভিত্তিতে গত ১৩ জানুয়ারী ২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাতে উল্লেখিত অফিাসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম ইটালী গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে অবশিষ্ট ০৪(চার) জন কে তাদের নিজ নিজ বাড়ী হতে গ্রেফতার করে।

আসামীরা প্রতোকে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। আজ ২ জন আসামীকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য এবং বাকি ০৩ জন হতে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button