এলাকায় কথিত জিনের বাদশা আ’লীগ নেতার কান্ড
বগুড়া শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখলেছুর রহমান মুন্নু (৬০)।এলাকায় তাকে অনেকেই জিনের বাদশা হিসেবেই চেনেন। গ্রামের বিভিন্ন বিচার সালিশে টাকার বিনিময়ে দেন ফরমায়েসি রায়। রাজনৈতিক প্রভাবে ক্ষমতাবান মুন্নুর নানা অপকর্মের পর এবার চোখ পড়েছে আপন ছোট ভাই বিদেশ ফেরত রেজাউল করিম রেজার সম্পদের দিকে। ছোট ভাইয়ের কাছে বিক্রি করা সম্পত্তি আজ অবধি হস্তান্তর না করে উল্টো তার বাকি সম্পত্তির দখল নিতে মরিয়া এই নেতা। ভাইকে বাড়ি ছাড়া করতে মানুষের কাছে কখনো তাকে বানাচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ী, আবার কখনো তার বাড়ি ঘরে করছেন হামলা।
একের পর এক দিচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকি।
গত শনিবার রাত ১০টা।
নিজের মা, স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন রেজা। আচমকাই বাহিরে শুরু হয় হইহুল্লোড়। বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মুন্নু মুখোশ পরা বেশ কয়েকজন ক্যাডার সঙ্গে নিয়ে বাহির থেকে বলছে ‘এই শালা বাড়ি থেকে বের হ, না হলে জীবন আজকেই শেষ করে ফেলবো’। প্রাণ ভয়ে দরজা লাগিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোনো রকম বেঁচে যায় রেজা। থানায় ফোন করে পুলিশ ডাকলে বড় ভাই মুন্নু বলেন, ওর (রেজার) বাড়ির মধ্য বাহিরের লোক আছে যারা আমাকে মারপিট করার জন্য এসেছে। তার কথায় পুলিশ বাড়ি তল্লাশি করে বাহিরের কাউকে পায়নি।
পরদিন সকালে ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে আবারো লাঠি হাতে ছোট ভাইয়ের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় তারা। বাড়ির দরজা ও জানালায় লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। ছুড়তে থাকে ইটপাটকেল। দরজা বন্ধ করায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি দেন তারা।
ঘটনার পর গত রোববার সকালে অশ্রুভেজা কণ্ঠে এভাবেই বড় ভাই মুন্নুর অপকর্মের কথা তুলে ধরেন উপজেলা সদরের ধাওয়াগীর গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের বিদেশ ফেরত ছেলে রেজাউল করিম রেজা।
বিষয়টি সম্পর্কে গত রোববার রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান মুন্নুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, মুন্নু ও রেজার মধ্য জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি শুনেছি।
শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, আইন সবার জন্যই সমান। রেজাউল করিম রেজা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।