সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় র্যাবের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। একই সঙ্গে মামলার পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগরের দের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর-৪-এর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত এসব আদেশ দেন।
এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় কাজে বাধাদান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি মামলা থেকে সিনহার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
১৩ ডিসেম্বর একই আদালতে ২৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের অপকর্ম ও মাদক বাণিজ্যের তথ্য জেনে যাওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহার গাড়ি দাঁড় করানো হয়। তিনি গাড়ি থেকে বের হলে তাকে গুলি করে ওসি প্রদীপ। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
সিনহা হত্যায় ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের বড় বোন কক্সবাজারের আদালতে মামলা করেন। মামলায় ওসি প্রদীপসহ নয় জনকে আসামি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের সময় সিনহার সঙ্গে কক্সবাজারে ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ করছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির তিন শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাহসিন রিফাত নূর। পরে পুলিশ তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে।