জাতীয়

বাংলাদেশ থেকে ৫ মাসে বিদেশে শ্রমিক গেছে মাত্র ৮ হাজার

বিশ্বজুড়ে করোনা কারণে শ্রম বাজার বন্ধ ছিল। এতে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত বিদেশে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ থাকলেও প্রবাসীরা দেশে ফেরেন। আর এপ্রিল-জুন পর্যন্ত লকডাউনের কারণে একজনকেও পাঠানো যায়নি। তবে বিশ্বজুড়ে শ্রম বাজার খুলে দিলে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৮ হাজার শ্রমিক বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। লাখের ঘর থেকে এখন হাজারের ঘরে শ্রম বাজার পৌঁছেছে। অথচ অন্যান্য বছরগুলোয় একই সময়ে লাখ লাখ মানুষ বিদেশে যায়। এই অভিবাসন পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে যেতে আরও অন্তত কয়েক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: বিবিবি বাংলা

বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য মতে, করোনাভাইরাসের কারণে চাকরি হারিয়ে চলতি বছরে প্রায় সাড়ে তিন লাখ অভিবাসী কর্মী বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া যারা বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিলেন করোনাভাইরাসের লকডাউনের মধ্যে তারাও দেশ ছাড়তে পারেননি। এমন অবস্থায় আগে যেখানে প্রতিবছর সাত থেকে আট লাখ শ্রমিককে বিদেশে পাঠানো হতো, সেখানে চলতি বছর বিদেশে পাড়ি জমাতে পেরেছে এক লাখ ৯০ হাজারের মতো মানুষ; যাদের ৯৬% গিয়েছে প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আগের চাইতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে হলেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। তাই খুব স্বল্প পরিসরে হলেও বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া আবার শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, বিশেষ করে করোনাভাইরাসের কারণে, বাসাবাড়ির কাজ, কৃষি, মেডিকেল, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে শ্রমিক নেওয়ার হার বেড়েছে। বাংলাদেশ যদি এই বাজারটা ধরতে এখন থেকেই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে এবং এখনও যেসব শ্রমিক দেশের বাইরে আছে তাদের যেন ফেরত আসতে না হয়, সে ব্যাপারে সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়; তাহলে পরিস্থিতি খুব দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button