নব্যদীপ্তি_শুদ্ধ চিন্তায় তারুণ্য

ভালোবাসার বৃদ্ধাশ্রম

আমাদের উজ্জ্বল সমাজের সবচেয়ে অন্ধকার দিকটি হল আজও সমাজের কিছু পিশাচ তাদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিষয়টির দায়িত্ব নিতে চায় না।আর সেই মর্যাদাপূর্ণ বিষয়টি হলো পিতা-মাতার দায়িত্ব। আর সেই কারণেই তৈরি বৃদ্ধাশ্রম।

বৃদ্ধাশ্রম এমন একটি শান্তিপূর্ণ আবাস যেখনে গেলে পিতা-মাতার সেই শীতল স্নেহ-মায়া,ভালোবাসা মমতার আভাস পাওয়া যায়। পৃথিবীতে সন্তানদেরকে পিতা-মাতার মতো ভালো কেউই বাসে না।তারা নিজেদের সবকিছু উজাড় করে তাদের সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে চায়।

পরবর্তীতে সেই সন্তানই হয়ে ওঠে স্বার্থপর।পিতা-মাতা হয়ে ওঠে তাদের কাছে বোঝাস্বরূপ। পিতা-মাতার সন্তান যত জনই হোক তারা কখনোই তাদের সন্তানকে ছুরে ফেলতে পারে না কিন্তু সেই সন্তানই তাদের বৃদ্ধ অবস্থায় তাদের দিয়ে আসে বৃদ্ধাশ্রমে আর তার কারন হতে পারে নতুন পরিবারের চাপ,দারিদ্রতা,স্বার্থপরতা কিংবা বিরক্তিতা।

সেই মায়া মমতাপূর্ণ বৃদ্ধাশ্রমে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় অসহায় হতভাগ্য সেই পিতা-মাতাদের যাদের চোখের চাউনি ই বলে দেয় তাদের কষ্ট,তাদের উৎস্বর্গতা,তাদের হীনমন্যতা।আর নিষ্পাপ সেই অভাগা পিতা-মাতাকে নিজের ভেবে তাদের কষ্ট উপসমের জন্য একই সমাজে থাকা কিছু মহৎ ব্যক্তি তাদের জন্য তৈরি করেছে অপার শান্তির স্থান বৃদ্ধাশ্রম যেখানে হাজার ও পিতা-মাতার ভালোবাসা একসাথে পাওয়া যায়। এ যেনো এক স্বর্গীয় সুখ😇😇😇

আমারা এই স্বর্গীয় সুখ নিজ নিজ আবাসেই পেতে পারি।আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে হবে তাহলে সেই বৃদ্ধাশ্রমে কোনো অসহায় পিতা-মাতাকে আর দেখতে হবে না।

নূর-ই-জান্নাত
নব্যদীপ্তিশুদ্ধচিন্তায়_তারুণ্য

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button