কাহালু উপজেলা

কাহালুতে আমন ধান কাটা-মাড়াই করতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষাণ-কৃষাণীরা

চলতি আমন মৌসুমে বগুড়ার কাহালু উপজেলায় জমি থেকে আমন ধান কাটা প্রায় শেষ। সে ধান জমি থেকে নিয়ে এস এখন মাড়াই করে তা রোদে শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে এই অঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণীরা।

সরেজমিনে কাহালু উপজেলার গিরাইল, লক্ষীপুর, জামগ্রাম, পাইকর সহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে ধান ক্ষেতের প্রায় সব ধান কাটাই শেষ। সারাদিন ব্যাপী ধান কেটে মাড়াইয়ের পর রাতভর সেই ধান সেদ্ধ করতে দেখা যায় এসময়টাতে। এরপর সেদ্ধকৃত ধান পরদিন রোদে শুকাতে দেয় কৃষাণ-কৃষাণীরা।

ধান সেদ্ধ ও রোদে শুকানোর কাজ করতে দেখা যায় বাড়ির মেয়ে ও মহিলাদের। এখানে আমন ধান কাটার পরই আলু-সরিষা চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয় অধিকাংশ জমি। যার ফলে কৃষকের কষ্টে অর্জিত আমন ধান ঘরে তুলতে গৃহস্থদের পাশাপাশি গৃহনীরাও সমানতালে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করছেন। এসময়টুকুতে যেন বিন্দুমাত্র দাম ফেলার সময়টুকুও নেই তাদের।

চলতি মৌসুমে ধান উৎপাদন নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের লক্ষমাত্রা পুরণ হলেও চাষাবাদ নিয়ে সন্তোষ নয় স্থানীয় কৃষকেরা। অতিবৃষ্টি ও পোকার আক্রমণের ফলে ধানের ফলন প্রতিবারের তুলনায় এবার অর্ধেকে নেমে এসেছ।

বগুড়া কাহালু উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়। এবার উপশি জাতের ধানের পাশাপাশি হাইব্রিড ধানের ফলনও অনেকটা ভালো হয়েছে। প্রতিবিঘায় উপশি জাতের ধানের ফলন হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ মন পর্যন্ত। আর হাইব্রিড ধানের বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ১৮ থেকে ১৯ মন।

এবার অত্র উপজেলায় বিভিন্ন প্রকার ব্রি-ধান, ¯^র্ণা, রনজিত, কাটারী ভোগ ধানের চাষ বেশী করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ধান উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে ৯২ হাজার ৯০৭ মেঃ টন ধান। যা ইতোমধ্যেই পুরণ হয়েছে।

তবে কাহালু লক্ষীপুর গ্রামের হেলাল ও জামাল সহ একাধিক চাষী জানিয়েছেন, এবার জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ হয়েছিল। জমিতে পাঁচ পার কিটনাশক প্রয়োগ করা হলেও পোকার আক্রমণ থেকে ধানকে বাঁচানো যায়নি। ফলে ধানের শীষ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে পাতানে পরিণত হয়েছে।

তারা জানায়, আবাদ কম হওয়ায় ধান রোপন থেকে শুরু করে ধান থেকে চালে বের করতে সবমিলিয়ে প্রতিবারের তুলনায় এবার তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কাহালু উপজেলা কৃষি অফিসার আখেরুর রহমান জানান, আমন ধান চাষাবাদ যখন শুরু হয়, তখন অতি বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নীচু জমির পানি সহজে নিষ্কাশন না হওয়ার ফলে চাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছিলেন। তবে সবমিলিয়ে ধানের আবাদ সন্তোষজনক হয়েছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button