তারুণ্যের কন্ঠস্বর

মৃত্যু উপত্যকা ( An Illicit Thorp)

মৃত্যু উপত্যকা হলো ঠিক সেই জায়গা যেখানে প্রতিনিয়ত উৎক্রান্তির খেলা চলতে থাকে।যেখানে সবসময় একটি থমথমে, নিস্তব্ধ পরিবেশ বিরাজ করে। এখানে প্রবেশ করলেই যেন অন্তর্আত্মা কেপে ওঠে। কারণ এখানকার বাতাস হতে ভেসে আসে রক্তের ঘ্রাণ। রাতের বেলা মাঝে মাঝেই কিছু আত্মচিৎকার কানে আসে।

আর এই রাতের অন্ধকারেই বের হয়ে আসে কিছু নিশাচর প্রাণী। যারা শুধু রাতের বেলাই সক্রিয় হয়, রাতেই খাদ্যের সন্ধানে বিচরণ করে। যাদের হিংস্রতা ও বর্বরতার সীমা এভারেস্টের তুঙে উঠে গেছে। এই নিশাচরদের ক্ষুধার তাগিদ মেটাতে বলি হতে হয় কিছু নির্মল,  নিষ্পাপ প্রাণকে। যাদের এরা খুবলে খুবলে ছিড়ে খায় শুধুমাত্র নিজেদের বাসনা চরিতার্থের জন্য।

এই নির্মল প্রাণগুলো সর্বদাই এই জঘন্য হিংস্রতার শিকার হয়।  নিরবে নিভৃতে নিজেদের সর্বস আহুতি দিয়ে দেয়। কিন্তু কখনোই দাড়াতে পারেনা  এই নিশাচরদের প্রতিকূলে।তাদের ব্যর্থ আর্তনাদগুলো প্রতিধবনিত হয়  মৃত্যু উপত্যকার ইট- পাথরে, বাতাসের প্রতিটি কণায়, প্রতিধবনিত হয় উপত্যকার সর্বস। কিন্তু কোনো লাভ হয়না।

কারণ, আজ এখানে সকলেই ভক্ষকে পরিণত হয়েছে। হিতকর হয়ে এদের রক্ষা করার মতো আর কেউ নেই। এখানে প্রতিনিয়তই সরলতার আড়ালে বিচ্ছিরি বর্বরতার খেলা চলছে।কিন্তু  এই বর্বরতা কি এভাবেই চলতে থাকবে?? সতেজ সজীব প্রাণগুলো এভাবেই নিজেদের বিসর্জন দিতে থাকবে?? এই নির্মমতা !!

হিংস্রতার কি কোনোদিন অন্ত হবে না?? ন্যায়ের দীপ্তি সাথে নিয়ে সুস্থ মস্তিস্কের, মনুষ্যত্বের ধারণায় উজ্জীবিত একটি নব সমাজের উৎপত্তি কি হবে না?? এই নিরর্থক নিরোত্তর প্রশ্নগুলোই নশ্বরতার ভূমির নিস্পোষিত অস্তিত্বগুলোর মনে প্রায়ই জেগে ওঠে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button