টুরিজম

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে থাকছে সর্বাধুনিক পর্যটন সুবিধা

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং দ্বীপের নয়নাভিরাম পরিবেশে গড়ে উঠছে বাংলাদেশের প্রথম পর্যটননির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। এটি হবে এশিয়ার মধ্যে সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত পর্যটন কেন্দ্র, যা মূলত বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে রোববার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে ভূমি ইজারা চুক্তি সই করেন ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক রিক হক সিকদার এবং বেজার নির্বাহী সদস্য আবদুল মান্নান।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক রিক হক সিকদার বলেন, আমরা সাবরং ট্যুরিজম পার্ককে সত্যিকারার্থে বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলব। এ জন্য আমরা সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইনের বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানকে এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করেছি।

এখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ে তিনি বলেন, এখানকার জীববৈচিত্র্য, দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে রক্ষার পাশাপাশি পর্যটনবান্ধব অঞ্চল গড়ে তোলা এবং কক্সবাজার জেলার আওতাধীন বিভিন্ন পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা করা আমাদের এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য।

এ বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) আওতায় মহেশখালীতে সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক এবং টেকনাফ উপজেলায় নাফ ট্যুরিজম পার্ক (এনএএফ) এবং সাবরং ট্যুরিজম পার্কের মাস্টার প্ল্যান উদ্বোধন করেন।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হবে। এই পর্যটনকেন্দ্রে কী কী সুযোগ সুবিধা থাকবে সে প্রসঙ্গে বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরির রিসোর্ট ও হোটেলের পাশাপাশি গলফ কোর্স, শপিং সেন্টার, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, অ্যামফিথিয়েটার, কনভেনশন সেন্টার, আ্যমিউজমেন্ট পার্ক, হাসপাতাল, ফায়ার স্টেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র থাকবে। এছাড়া পয়ঃবর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট, কঠিন বর্জ্য ও ই-বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট, পাওয়ার প্ল্যান্ট, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, পানি পরিশোধন ও সংরক্ষণাগার, সোলার প্যানেল এবং বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট হবে।

তিনি আরও বলেন, যোগাযোগের জন্য বাস ডিপো, ট্রান্সপোর্টেশন হাব, হেলিপ্যাড ও জেটি স্টেশন করা হবে। রাস্তা, হাঁটার পথ ও বাইসাইকেল লেন রাখা হবে। এছাড়া প্রধান আকর্ষণ সমুদ্রসৈকত, ঝাউবন, লেক ও গ্রিন পার্ক ইত্যাদি অনেক কিছুই করা হবে এখানে।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি হাজার হাজার তরুণের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক।

ভূমি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এবং বিজিমইএ-এর সভাপতি ড. রুবানা হক।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button