কাঁচা বাজার

বগুড়ায় ‘স্থিতিশীল’ পেঁয়াজের বাজার

ভারত সরকার নিয়মবহির্ভূতভাবে হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধের কারণে বগুড়ায় পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার একদিন পরই কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে।

সোমবার পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে বন্ধের পরদিন মঙ্গলবার বগুড়ায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ কেনাবেচা হয়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। তবে দিল্লীতে দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের পর পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস এবং জেলা প্রশাসনের তদারকির কারণে বুধবার বগুড়ায় পাইকারী বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ কেনাবেচা হয় ৮০ টাকা থেকে ৯০টাকা দরে। তবে খুচরা বাজারে কোথাও কোথাও ১০০ টাকা কেজি দরেও বেচাকেনা হয়েছে। এ ছাড়া কোন কোন পাড়া মহল্লায় খুচরা বিক্রেতারা ১২০ টাকা কেজিও বিক্রি করেছে।

বগুড়া শহরের পাইকারী রাজাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন আড়তে প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। অথচ দাম চড়া। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, দাম বাড়ার আতংকে হঠাৎ করে চাহিদার অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বুধবার আর বাড়েনি।

বগুড়ার একাধিক পেঁয়াজ আমদানীকারক অভিযোগের সুরে বলেন, ভারতে পেঁয়াজের সংকট হতেই পারে। তাই বলে আগাম কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন। এলসির পেঁয়াজসহ পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকও স্থলবন্দরে আটকে রাখা হয়েছে। পেঁয়াজ হলো কাঁচামাল। তাই দু’দিন ট্রাকে থাকলেই তা পচন ধরবে। এ ট্রাক পরে ছাড়লে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হবে। তাই দ্রুত ছাড়তে হবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের হিলি, বেনাপোল, ভোমরা ও সোনা মসজিদ স্থল বন্দরে পেঁয়াজ বোঝাই ৫শত ট্রাক আটকে রয়েছে। এ পেঁয়াজ দেশে আসলে সাময়িক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা থাকবে না।

বগুড়া রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পেঁয়াজ আমদানীকারক পরিমল প্রসাদ জানান : স্থলবন্দরগুলোতে আটকে রাখা পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভারত সরকার। এ ছাড়া গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের জন্য যেসব এলসি করা হয়েছে তা রপ্তানীর জন্য ভারত সরকারের সাথে দেনদরবার চলছে। আশা করছি সে পেঁয়াজও পাওয়া যাবে।

তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার থেকে রাজাবাজারে পেঁয়াজের পাইকারী ও খুচরা দাম আড়ৎ ও দোকানে দোকানে ঝুলিয়ে দেয়া হবে। এ ছাড়া বিক্রেতারা ক্রয় রশিদ ও বিক্রয় রশিদ প্রদর্শন করবেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button