শেরপুর উপজেলা

করোনা সন্দেহে ঘর থেকে বের করে দিল স্ত্রী,হাসপাতালে নিল পুলিশ

মানিকগঞ্জ থেকে ফেরত বেলাল হোসেন। পেশায় দিনমজুর।তার বয়স ৬৫। সবাই রংপুইরা বলে চেনে। গত ১৫ জুন মানিকগঞ্জ থেকে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের সিমলা সাতবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এসেছেন। তারপর থেকেই তার জ্বর শুরু হয়। জ্বরের কারণে স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন গতকাল থেকে তাকে এড়িয়ে চলছিল। করোনা হয়েছে সন্দেহ করে আজ বুধবার বিকেল ০৫:০০ ঘটিকার দিকে তার স্ত্রী তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। একদিকে স্ত্রী যেমন নিজ ঘরে জায়গা দেয় নি অপরদিকে আশেপাশের লোকজনও তাকে তাদের বাড়ির ত্রি-সীমানায় যেতে নিষেধ করেছে। অবিরাম বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে বেলাল। বৃষ্টিতে ভিজেই যেন তার মৃত্যু হয় মনে মনে সেই দোয়া করতে থাকে। অতঃপর স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবরটি জানতে পারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ । থানা থেকে সাথেসাথেই অফিসার ফোর্স প্রেরণ করেন। এদিকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। শেরপুর থানা পুলিশ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান়, জ্বরে আক্রান্ত বেলাল হোসেন বৃষ্টিতে ভিজতেছে।

পুলিশ বৃষ্টিতে ভেজার কারণ জানতে চাইলে বেলাল হোসেন জানান়, স্ত্রী তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সেডে গেলে তারাও তাড়িয়ে দিয়েছে। উপায়হীন হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মরে যাওয়ার কথাই ভাবছে। শেরপুর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গাড়ি যোগে শেরপুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে সে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। এমন কাজে করোনা মহামারীতে আবার এক নতুন মানবিকতার পরিচয় দিলেন জেলা পুলিশ বগুড়া।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button