জাতীয়

করোনা: ছুটি বাড়লো ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ছুটি আরও ১১ দিন বেড়েছে। সাধারণ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে এই প্রজ্ঞাপনে ছুটির বাইরেও বেশ কিছু নির্দেশনার বিষয়ে বলা হয়েছে। যা ছুটি চলাকালে মেনে চলতে বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ৫ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনে ঘোষিত সাপ্তাহিক ছুটি ও সাধারণ ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল এবং ১৯ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। সাধারণ ছুটির সাথে আগামী ১৭ ও ১৮ এপ্রিল এবং ২৪ ও ২৫ এ্রপ্রিল সাধারণ ছুটির থাকবে।

এর আগে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসূফ হারুনও দুপুরে ঢাকা টাইমসকে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যতদিন নিয়ন্ত্রণে না আসবে, ততদিন জনগণের চলাচলকে সীমিত করতে সাধারণ ছুটির প্রয়োজন আছে। তবে বিশেষ ও জরুরি পরিষেবাগুলো আগের আদেশের মতোই নির্দিষ্ট নিয়মমেনে চলবে।’

এর আগে প্রথমে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লম্বা করা হয়। এবং সর্বশেষ ১২ ও ১৩ তারিখকে সাধারণ ছুটির আওতায় এনে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের ছুটি।

তবে সরকারি আগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ছুটির মধ্যেও জরুরি পরিষেবা অর্থাৎ বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি খাতের কার্যক্রম চলবে।

এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতায় পড়বে না।

জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো চালু রাখতে পারবে। জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর যে নির্দেশনা দিয়েছে তা অব্যাহত থাকবে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে ৪২৪ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২৭ জন। করোনা ঠেকাতে সাধারণ ছুটি চলছে সারা দেশে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button