বগুড়া সদর উপজেলা

বগুড়ায় ওরশ মাহফিল বন্ধ করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত

বগুড়ায় পীরের আস্তানায়  ওরশ মাহফিল বন্ধ করার কথা বলায় মারপিটের শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন পরিদর্শক নান্নু খান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদ।

জানা যায়,বুধবার (২৫ মার্চ) রাতে বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার গোয়ালগাড়িতে শাহসুফি আলহাজ্ব হজরত মাওলানা ছেরাজুল হক চিশতী (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে ওরশ মাহফিল বন্ধের আহ্বান জানালে কথিত পীরের মুরিদরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে।

আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অমান্য করে পীরের আস্তানায় বার্ষিক ওরশ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

বুধবার দুপুরের পর থেকে সেখানে বিভিন্ন এলাকার নারী ও পুরুষ মুরিদেরা আসতে শুরু করেন।
এমতাবস্থায় ওরস মাহফিল বন্ধ রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক দফা নিষেধ করা হয়। সন্ধ্যার পর পীরের আস্তানায় নারী-পুরুষরা সম্মিলিতভাবে জিকির শুরু করে।

এলাকার লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাত ৯টার দিকে উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খানসহ তিনজন পুলিশ সেখানে গিয়ে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কথা বলে ওরশ মাহফিল বন্ধ করতে বলায় মারপিটের শিকার হোন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পীরের আস্তানা সংলগ্ন একটি চারতলা বাসভবনে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় মুরিদরা। পরে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী হ্যান্ডমাইকে তাদেরকে আত্মসমর্পনের আহবান জানায়। পরে রাত ১০টার দিকে ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকে অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু বের হয়ে আসেন।পরে পুলিশ পীরের অনুসারী ২২ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ২২ জনসহ জড়িত অন্যদের নামে মামলা দায়ের করা হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button