সোনাতলা উপজেলা

ফুটবলার রফিকুল ইসলাম বাবু এখন বাকশক্তিহীন অবোধ শিশু

বগুড়া লাইভ : এক সময় এর ক্ষীপ্র গতির বলগা হরিণ,এখন গৃহ বন্দী।
*কেও ডাকে পুলিশ বাবু,
* কেও বলে সোনাতলার বাবু। আসলে তিনিই ফুটবলার রফিকুল ইসলাম বাবু। আজ তিনি বাকশক্তি হীন এক অবোধ শিশু।

**আশা করি বগুড়ার ফুটবল ক্রিড়ামোদী ভাই এ রা বুঝতে পেরেছেন আমি যার কথা বলছি। ৭০ দশকের শুরুর দিকে স্কুল পড়ুয়া লাল টুক টুক এক কিশোর ফুটবলার বগুড়ার ফুটবল লীগ খেলার জন্য এলেন শহরে। গ্রামের আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা দূরন্ত বালক শহরে এসে কিছুটা স্তম্ভিত হলেও তার পথ প্রদর্শক যে পাক্কা জহুরী। ততকালীন বগুড়ার ফুটবলের আলোচিত এক শিল্পি আবেদুর রহমান নান্টু। তিনিই সরাসরী ইউ,এফ,সি ক্লাবে খেলানোর জন্যই সুদুর সেনাতলা থেকে এনে মাঠে নামিয়ে চমক দেন।

**তার পরের কাহিনী সবারই কম বেশী জানা।তার ক্ষীপ্রগতি আর অসাধারন ড্রিপলিং,ট্যাকলিং এবং অসম্ভব গোল করার ক্ষমতার কারনে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। জেলা দল, বগুড়া পুলিশ দল সহ বিভিন্ন নামি দামি ক্লাবে তিনি খেলে সবার প্রিয় ফুটবলার বনে যান। বগুড়া সহ সাড়া উত্তর বংঙ্গে তার পরিচিতি হয় গোলমেশীন বাবু হিসাবে। ঢাকার মাঠে তখনকার সময় টপ ক্লাস ফুটবলার গন খেলতেন। কিন্তুু বগুড়ার খেলোয়াড়রা যোগ্যতা সম্পর্ন হওয়ার পরও মায়ের আচল ছাড়তে না পাড়া এবং রাজধানী ভিতি তাদের বেশীদূর যেতে দেয়নি। ঠিক রফিকুল বাবুর বেলাতেও তাই হয়েছে। যদিও তার ওস্তাদ নান্টু ঢাকা মোহমেডানে খেলতেন। যারা মায়ের আচল ছেড়ে ছিলেন, তারা কিন্তুু ( ফজলু কিপার, অমলেশ,আফজাল,ঈছমাইল,) ঠিকিই ততকালে ঢাকা জয় করেছিলেন।

**ফিরছি বাবু ওস্তাদের কথায়। ওস্তাদ এ কারনেই তার কাছ থেকে অনেক দীক্ষ্যা পেয়েছি। এক সাথে জেলা দল, পুলিশ টিমে তিন বছর সহ বহু বড় বড় ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তিনি দারুন গেম পলেট্রিক্স জানতেন। দূর্বল দল নিয়ে বাঘা বাঘা দলকে হাড়ানোর বহু নজির আছে। যা নিজেও মাঠে দেখেছি।

** আজ বড়ই অসহায়। গত দুই বছর আগে ব্রেইন ষ্ট্রোকে বাকশক্তি হাড়িয়েছেন,সাথে এক হাত ও পা।মহান আল্লাহ তাকে সুস্হ্য রেখেছেন।তবে ঘড়েই বসে থাকেন। একা একা দেয়াল ধরে একটু হাটেন তবে কথা বোঝা দায়।

** তিনি একজন দক্ষ ফুটবল রেফারীও ছিলেন। এবং পৌরসভার জনপ্রিয় কাউন্সিলরও বটে। সর্বদা যিনি জন সাধারননের মাঝেই থাকতেন, আজ তিনি গৃহ বন্দী হয়ে আছেন। কষ্ট লাগে আর ভাবি, আমরা খেলোয়াড় রা কি খেলার মাঠের জোকার ছিলাম? শুধুই দর্শকরা মজার জন্যই হাত তালি দিত!! খেলা শেষে ষ্টেজে বসা নেতারা এক সাথে জরো হওয়া হাজারো নড় জনতা পেয়ে গলা ফাটিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করে? না হলে কেন অসহায় এবং অবসর খেলোয়াড়দের কেও খোজ নেয় না?? বড় লেখা হওয়ায় মাফ করবেন।

মোঃ শহিদুল ইসলাম

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button