বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

সাক্ষী থাকুন মহাজাগতিক দৃশ্যের: একটু পরেই দেখতে পাবেন আকাশে

হ্যালোইন প্রেমীদের জন্য এবার যোগ হচ্ছে বাড়তি একটি আনন্দ। আর তা হল ব্লুমুন। একই সঙ্গে দ’টি জিনিস উপভোগ করতে যাচ্ছেন তারা। 

শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাতেই হ্যালোইন উৎসবের মধ্যে দেখা পাওয়া যাবে বিরল এই ব্লুমুনের।

যদিও করোনা মহামারির কারণে এবার আগের বছরগুলোর মতো আমেজ থাকবে না হ্যালোইন উৎসবের। তবে এবার বাড়তি আনন্দ হিসেবে আকাশে দেখা যাবে নীল চাঁদ। খুবই কম দেখা যায় এমন দৃশ্য।

কেন বলা হয় ব্লু মুন : ব্লু মুন আসনে আর কিছুই নয় পূর্ণিমার চাঁদ। যা অন্যান্য পূর্ণিমার থেকে একটু বেশি বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। সাধারণত প্রতি মরশুমের তৃতীয় পূর্ণিমার চাঁদ ব্লু মুন হয়। আবার নাসা মত ভিন্ন। প্রতি মাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমায় ব্লু মুন দেখা যায়। যদিও প্রথম যুক্তিটাই বেশি স্বীকৃত।

আয়ারল্যান্ডের জ্যোতির্বিদদের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালের পর প্রথমবার আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে হ্যালোইন এবং পূর্ণ চাঁদ একসঙ্গে দেখা দেবে। বৈজ্ঞানিক কিছু ব্যাখ্যা রয়েছে চাঁদের এই নীলাভ রং ধারণের পেছনে। ব্লু মুন কিন্তু পূর্ণিমার চাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এই চাঁদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

সাধারণত কোনও মাসে যদি দু’বার পূর্ণিমা হয় তবে দ্বিতীয় বা শেষ পূর্ণিমাতে দেখা পাওয়া যায় ব্লু মুনের। অক্টোবর মাসের ১ তারিখ ছিল পূর্ণিমা। আবার ৩১ অক্টোবর রাতেও হচ্ছে পূর্ণিমা। সে কারণে আজ রাতে চাঁদকে নীল রংয়ে দেখা যাবে।

বছরে সাধারণত ১২টি পূর্ণিমা হয়। প্রতি মাসে একটি করে। প্রতিটি পূর্ণিমার একটি করে ইংরেজি নাম রয়েছে।  বিভিন্ন দেশীয় ও উপজাতি সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে এই নামকরণ করা হয়েছে।

নামে নীল চাঁদ হলেও, আসলে তা পুরোপুরি নীল হয় না। এটাকে ব্লু মুন বলে ডাকা হয় কেন তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। ব্লু মুন সাধারণত কোনো মৌসুমের তৃতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয়। বসন্ত, গ্রীষ্ম, হেমন্ত ও শীতের মৌসুমের তৃতীয় পূর্ণিমা হল ব্লু মুন। নাসার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৮৮৩ সালে ইন্দোনেশিয়ান আগ্নেয়গিরি ক্রাকাতোয়ায় ভয়াবহ উদগীরণ হয়। প্রচুর পরিমাণে কালো ছাই বাতাসে জমা হয়।

এই বিভাগের অন্য খবর

এছাড়াও দেখুন
Close
Back to top button