আন্তর্জাতিক খবর

ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ

মুসলিম এবং ইসলামের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যর নিন্দা জানিয়ে এবং ফ্রান্সে মহানবীর (সাঃ) ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে দেশগুলোতে বিক্ষোভ করেছে মানুষ।

এই ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বহু দেশে মুসলিমদের রোষ বাড়তে থাকার মধ্যেই নিস শহরে গির্জায় হামলা হল। এ হামলার পর ফ্রান্স জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত না করা এবং ফ্রান্সের স্বাধীনতার মূল্যবোধ বিসর্জন না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। ‘ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করা হবে না’ বলেও এর আগে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তিনি।

তার এই মন্তব্যের নিন্দা করেছে মুসলিমরা। তিনি ‘ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছেন’ বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছে। ফ্রান্সে যে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা হচ্ছে তার জন্য ম্যাক্রোঁকেই দায়ী করে বিক্ষোভকারীরা বলেছে, এর কারণ তিনি ইসলাম এবং মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করছেন।

ভারত, বাংলাদেশ, লেবানন, সোমালিয়াসহ বিভিন্ন দেশ এবং মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বিক্ষোভ হয়েছে।

এই বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই সর্বশেষ শুক্রবার ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, ইসলামি আদর্শের বিরুদ্ধে যুদ্ধে থাকায় ফ্রান্সের মাটিতে আরও জঙ্গি হামলা হতে পারে।

এদিন জুমার নামাজের পর ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ফিলিস্তিনের হাজার হাজার মানুষ। কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে।

ভারতের মুসলিম-অধুষ্যিত মুম্বাইয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ হয়েছে। সেখানে ব্যস্ত রাস্তায় সেঁটে দেওয়া হয় ম্যাক্রোঁর ছবি-সম্বলিত পোস্টার। তার ওপর দিয়ে চলছে গাড়ির চাকা। ছবি মাড়িয়ে যাচ্ছেন পথচারীরা।

সম্প্রতি ফ্রান্সে স্যামুয়েল প্যাটি নামের এক ইতিহাস শিক্ষক ক্লাসে বাকস্বাধীনতা বিষয়ে পাঠদানের সময় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখান। যার জেরে গত ১৬ অক্টোবর চেচেন বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি ছুরি হাতে ওই শিক্ষককে আক্রমণ করে এবং তার শিরশ্ছেদ করে।

এই ঘটনায় ফ্রান্সজুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইসলামি মৌলবাদের বিপরীতে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন।

তার মধ্যেই ফ্রান্সে বৃহস্পতিবার আবারও একই ধরনের হামলায় তিনজনের মৃত্যুর পর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। হামলায় জড়িতদের ধরপাকড় ‍শুরু হয়েছে। শুক্রবার ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ নিস শহরে হামলাকারীর সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button