করোনা আপডেটস্বাস্থ্য

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে খাদ্য তালিকায় যা রাখবেন

করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বিশ্ব আজ কুপোকাত। শীতের মৌসুমে দেশে করোনাভাইরাস বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এখন এই ভাইরাস। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতি উপায়ে রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে চাইলে খাদ্যের তালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। নিয়মিত সেগুলি খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।

নিয়মিত আমলকী খেতে পারেন। কারণ আমলকীতে প্রচুর পরিমাণ ‘ভিটামিন সি’ রয়েছে। এছাড়া ঢ্যাঁড়শ, পটল, কুমড়ো, বিনস, গাজর, বাঁধাকপি, কলমি শাক, ক্যাপসিকাম, বরবটি, কড়াইশুঁটি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ এর সবকিছুতেই রয়েছে পর্যাপ্ত পুষ্টি।

ভারতের সিনিয়র কনসালট্যান্ট নিউট্রিশনিস্ট নীনা সিংহ মতে, সকালে কুসুম পানির সঙ্গে কাঁচা হলুদ খেলে গলার সমস্যা দূর হয়। একই সঙ্গে সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। কাঁচা হলুদ না থাকলে রান্নায় ব্যবহৃত খাঁটি গুঁড়ো হলুদ গরম জলে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

সকালের নাস্তাঃ সকালের নাস্তায় ডিমসিদ্ধ, ডাল আর সালাত, গাজর, খিচুড়ি, ক্যাপসিকাম, বিনস, বরবটি, সয়াবিনের বড়ি বা ডিম দিয়ে বাড়িতে বানানো চাওমিন, সুজি, স্যুপ, ওমলেট এসব প্রয়োজনমতো খাওয়া যেতে পারে। আর নাস্তা সেরে নিয়ে মিড মর্নিংয়ে একটা লেবু, আপেল, পেঁপে, শসা বা যে কোনও একটা ফল খেলে মন্দ হয় না।

দুপুরের খাবারঃ সাধারণ বাঙালি খাবার— ভাত, ডাল, সব্জি, মাছের ঝোল, চাটনি, শাকভাজা, লাউ, পেঁপে বা পটলের তরকারি খাওয়া যায়। তবে খাবারের সঙ্গে সালাত আর দই বেশ উপকারী।

বিকালের নাস্তাঃ ভেজা ছোলা, বাদাম দিয়ে ঝালমুড়ি বা চানাছুর খেতে পারেন। পরে চিনি ছাড়া লিকার চা আর বিস্কুট হলে জমে উঠবে বিকাল। তবে মনে রাখতে হবে বাড়িতে আছেন বলে একাধিক বার চা ও কফি পান করা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। দিনে সর্বোচ্চ চার–পাঁচ বারের বেশি চা-কফি পান করা ঠিক নয়।

রাতের খাবারঃ রাতের খাবার ৯টার মধ্যে খেয়ে নিতে পারলে ভাল হয়। খাবার অন্তত ২ ঘণ্টা পরে ঘুমোন উচিত। রুটি, ডাল, চানা, রাজমা, চিকেন সুবিধেমতো খাবেন। খাবার পর সহ্য হলে এক কাপ স্কিমড দুধ পান করলে ঘুম ভাল হয়।

সূত্র: এবেলা

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button