ধুনট উপজেলা

ধুনটে বিধবা ভিক্ষুককে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা

বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নে হাসিলা বেগম (৪১) নামে এক বিধবা ভিক্ষুককে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে আদালত।

আসামিরা হলেন, উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের আনারপুর কচুগাড়ি গ্রামের সামছুল মন্ডলের ছেলে বাদশা আলম (২৮) ও আনারপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের বাদু মন্ডলের ছেলে ফজলুল হক (৩২)। আসামিরা পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ পরিদর্শক আকবর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বগুড়া আমলি আদালাতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসান গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে নিহত হাসিলা বেগমের মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে ১৬ অক্টোবর রাতে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, সারাদিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভিক্ষা করে জীবিকা চালাতেন হাসিলা বেগম। দিন শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে হাঁড়িতে চড়াতেন ভিক্ষা করে পাওয়া চাল। সঙ্গে ভিক্ষার সামান্য টাকায় কেনা ডাল, আলু বা দু’-একটি সবজি। গত ১৩ অক্টোবর সকালে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতের পাশে একটি পতিত জমি থেকে সেই হাসিলা বেগমের গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

হাসিলা বেগম উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের ঘুগরাপাড়া গ্রামের শুকর আলী মন্ডলের মেয়ে। গত ১২ অক্টোবর রাতে পাশের গ্রামে বোনের বাড়ি থেকে ফেরার সময় আসামিরা তাকে ধানক্ষেতের পাশে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তাতে ব্যর্থ হয়ে পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় তাকে।

ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃত বাদশা আলম ও ফজলুল হক ভিক্ষুক হাসিলাকে ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যার দায় স্বীকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আরো কয়েকজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তদন্ত সাপেক্ষে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button