বগুড়া সদর উপজেলা

বগুড়ায় ভাসুর কর্তৃক গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ

বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা এলাকায় বসবাসকারী জান্নাতুন নেছা মিলি নামক এক গৃহবধুকে ভাসুর এবং ভাসুরের স্ত্রী কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত মিলি গত ৮ অক্টোবর দুপুরে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, নিশিন্দার এলাকার মৃতঃ তারা মিয়ার ছেলে বিমান হোসেন (৪৮) ও তার স্ত্রী শাপলা বেগম (৪০)। অভিযুক্ত আসামী বিমান বগুড়ার সেঞ্চুরী মোটেল এর স্বত্তাধিকার আব্দুল হামিদ মিঠুলের শ্যালক হিসেবেই এলাকায় পরিচিত।

নির্যাতিত নারী মিলি বলেন বলেন, তার ভাসুর বিমান তাদের পৈতৃক বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত মাদক সেবন করে এবং জুয়া খেলে। বিমান এর আগে মাদক মামলায় পুলিশের কাছে গ্রেফতারও হয়েছিল। মাদক সেবন করে এর আগেও কয়েকবার তিনি বাদীকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করেছিল যা পরে স্বামী বিপ্লব নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা না বাড়িয়ে সমাধানের চেষ্টা করে। গত কয়েক মাস বাদী মিলি এবং তার স্বামী বিপ্লব এর মাঝে পারিবারিক কলহের কারণে তার আলাদা থাকার পর এ মাসের ৬ তারিখে স্বামী বিপ্লব তাকে বাসায় নিয়ে যায়। তবে যাওয়ার পরে থেকে ভাসুরের পুর্বের মতই ব্যাবহারের এক পর্যায়ে গত ৮ অক্টোবর পুনরায় মিলিকে শারীরিক নির্যাতন করেন ভাসুর বিমান ও তার স্ত্রী শাপলা।

পরে নির্যাতিত মিলি ঘটনার পর পরই স্ব-শরীরে বগুড়া সদর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় বাদী মিলির স্বামী মোঃ বিপ্লব হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে তবে আমার বড় ভাই হওয়াতে আমি প্রতিবাদ না করে আমার স্ত্রীকে সেখান থেকে সড়িয়ে আমি পেশাগত কাজে বেড়িয়ে পড়ি এবং পরে জানতে পারি আমি চলে আশার পর তার উপরে আবারো নির্যাতন করা হয়েছে। পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজের পরিবার নিয়ে বাসা নিয়ে থাকবো তবুও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।

অভিযোগের উপরে ভিত্তি করে সেঞ্চুরী মোটেলের স্বত্তাধীকার আব্দুল হামিদ মিঠুল বলেন, আমি ঢাকায় থাকায় এ বিষয়ে কিছুই জানি না তবে আমার বড় শ্যালক বিমান মাদকাসক্ত। এর আগেও অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে আমি নিজে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছি।তবে এমন ঘটনা যদি সে ঘটিয়ে থাকে তাহলে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেলে এরপর থেকে আমি তাদের আর পরিচয় দিব না।

অভিযোগের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, উক্ত অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার হিসেবে উপশহর এস আই আব্দুর রহিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।তবে গত দুই দিনেও এখনো সেটির তদন্ত শেষ হয়নি তাছাড়া পুলিশ দুইবার অভিযুক্ত বিমানের বাসায় গেলেও তাকে বাসায় পাওয়া যায় নি।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা বলেন, উক্ত নির্যাতনের ব্যাপারে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি।অভিযোগের পর পরই তা তদন্ত শুরু করেছি।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button