লাইফস্টাইল

পারিবারে সচ্ছলতা নিয়ে আসতে বাজেট তৈরি করবেন যেভাবে

পরিবারে নিয়মিত ও অনিয়মিত খরচ কমিয়ে আনতে মান্থলি বাজেট বড় ভূমিকা রাখে। এছাড়া প্রতি মাসে কিছুটা সঞ্চয় করতে চাইলে উচিত পরিকল্পনা করে খরচ করা।  কিন্তু এই পরিকল্পনা কীভাবে করবেন?

#১. পরিবারের মাসিক আয় হিসাব করুন
এটা করা তো সবচেয়ে সোজা। প্রতি মাসে আপনার মোট আয় কত হলো তা লিখুন। এরপর আনুমানিক কত খরচ হতে পারে সেটা লিস্ট করে রাখুন। মাস শেষে আয় থেকে খরচের অঙ্ক বাদ দিন।

#২. অত্যাবশ্যকীয় খরচগুলি নোট করুন
যে বিলগুলি ফিক্সড যেমন বাড়ি ভাড়া, মর্টগেজ, ক্রেডিট কার্ড ঋণ এবং ইনসুরেন্স এসবের পেছনে আপনাকে প্রতি মাসে অবশ্যই ব্যয় করতে হয়। এছাড়াও মাসিক ভাবে যেসব জিনিসে আপনার খরচ একই থাকে সেগুলিও নোট করুন। এগুলিই আপনার অত্যাবশ্যকীয় খরচ।

#৩.  মাসিক যে খরচগুলি নির্দিষ্ট না সেগুলির লিস্ট করুন
কিছু খাতে একেক মাসে একেক রকম খরচ হয়। যেমন ফোন, খাবার, গৃহস্থালি, তেল, ওষুধ, যাতায়াত, জামা-জুতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রতি মাসেই ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এই খরচটা ফিক্সড থাকে না। এক্ষেত্রে আগের মাসের অভিজ্ঞতা থেকে আনুমানিক একটি হিসাব করে নিতে হবে।

#৪. না হলেই নয় এমন বিষয়গুলিতে সীমিত খরচ করুন
বিনোদন, বাইরে খেতে যাওয়া, শখ পূরণ বা দৈনিক নানা কাজে যে বাড়তি খরচ হয় সেটা সীমিত আকারে করতে চেষ্টা করুন। কারণ এই খাতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ফেললে প্রয়োজনীয় জিনিসের বেলায় সংকটে পড়তে হতে পারে।

#৫.  কী কী বাকি আছে তা খুঁজে বের করুন
আর কোন কোন খাতে আপনার খরচ হয় তা ভেবে বের করুন। দেখবেন অনেক রকম খরচ বের হয়ে আসবে। যেমন উপহার সামগ্রী কেনা, পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়া, ছুটির দিনের খরচ ইত্যাদি। এগুলির পেছনে বার্ষিক কত টাকা ব্যয় হতে পারে সেটা ১২ দিয়ে ভাগ করে নিলেই পেয়ে যাবেন এই খাতে আপনার মাসিক খরচের কতটুকু বরাদ্দ রাখতে হবে। 

#৬.  সর্বমোট কত টাকা খরচ হয় তা দেখুন
এবার সকল খাতে ব্যয় করা টাকা একসাথে যোগ করুন এবং মাসিক আয় থেকে এই খরচ বিয়োগ দিন। সব খরচের পরেও কিছু টাকা বেঁচে যেতে পারে। কিন্তু, মোট ব্যয় যদি আপনার মাসিক আয়কে ছাড়িয়ে যায় সেটা অবশ্যই ভালো লক্ষণ না।

#৭. কোন কোন ক্ষেত্রে খরচ কমানো যায় বিবেচনা করুন
খরচের পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে লিস্টটা আরেক বার ভালো করে দেখুন এবং কোন কোন খাতে খরচ না করলেও হবে আলাদা করুন। নন এসেনশিয়াল খরচগুলি আগে দেখুন। ব্যয় কমে না আসা পর্যন্ত খরচ অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করুন।

#৮. পরিকল্পনা ফলো করার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন
একটা খাতায় প্রতিদিনের খরচ লিপিবদ্ধ করুন। মাস শেষে দেখুন কোন খরচটা না করলেও চলতো। বা কোনটা বাড়তি খরচ। ব্যয় আপনার পরিকল্পনা মতোই হলো কিনা তুলনা করুন।

পরের মাসের পরিকল্পনা তৈরির সময় এই তথ্য কাজে লাগান।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button