বগুড়া সদর উপজেলা

করোনার প্রভাবে রাজস্ব খাতে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ মহাস্থানগড়ের প্রত্নস্থল

করোনার কারনে গত পাঁচ মাসে মহাস্থানগড়ে পর্যটন খাত থেকে সরকার প্রায় ৬০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। সাথে বেকার হয়ে পড়েছেন পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় অর্ধলাখ মানুষ।

গত ১৯ মার্চ থেকে দেশজুড়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগরী বগুড়ার মহাস্থানগড়ের জাদুঘরসহ এসব প্রত্নস্থল বন্ধ ঘোষণা করে দেয়।

স্বাভাবিক সময়ে প্রায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত থাকত দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক এই প্রর্যটন স্পটটি। গত ৫ মাসে বন্ধ আছে দর্শনার্থীদের কোলাহল। চারদিকে শুধু সুনসান নীরবতা মহাস্থান জাদুঘরসহ সব প্রত্নস্থল বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা জানান তাদের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চললেও বন্ধ আছে টিকিট কেটে দেখার দর্শনীয় স্থানগুলো তবে বন্ধ থাকলেও জাদুঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ আরও দর্শকপ্রিয় করা হয়েছে। সরকারের নিদের্শনা পেলেই দর্শনার্থীসহ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে প্রত্নস্থলগুলো।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয় ১ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সেখানে চলতি বছরের ১৯ মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছে ৯০ লাখ ১৩ হাজার ১০৪ টাকা। এতে করে রাজস্ব আয় কমেছে ৪০ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯৬ টাকা।শুরু হয়েছে ২০২০-২১ নতুন অর্থবছর, এই অর্থবছরের দুই মাসে আরও ২০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হারিয়েছে সরকার।

প্রতিবছর মহাস্থানগড়ে দুই ঈদে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়ে যেত অনেক গুণ। কিন্তু এবার করোনার থাবায় শুনশান নীরবতা ছিলো মহাস্থানে।গতকাল ১৭ আগস্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে দেশের সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবানের পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট স্পটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জাদুঘর বা প্রত্নস্থলগুলো খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলেই আবারে আগের অবস্থায় ফিরবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

সূত্রঃ আমাদের সময়

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button