শিবগঞ্জ উপজেলা

বগুড়ার মহাস্থান হাটে অনুষ্ঠিত হলো ‘বড় মাছের’ মেলা

বাঙালিদের বিচিত্র অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হলেও নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। নবান্ন বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব। এই নবান্ন উৎসবকে বাঙ্গালীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সোমবার অগ্রহায়ণ, জাতীয় নবান্ন উৎসব ১৪২৬ উপলক্ষে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানহাটে বিরাট মৎস্য মেলার আয়োজন করা হয়।

প্রতি বছরের ন্যায় মহাস্থান মৎস্য আড়ৎ সমবায় ও বহুমুখী সমিতির উদ্যোগে এ মাছের মেলার আয়োজন করা হয়।

তারই প্রেক্ষিতে ভোরবেলা থেকে আসতে শুরু করে কাতলা, চিতল, সিলভার র্কাপ, ব্লাডর্কাপ বিগহেড, চিতল, বোয়ালসহ বিরল প্রজাতির হরেক রকমের মাছ। চলছে হাঁকডাক, দরদাম। এক কেজি থেকে শুরু করে ২৬ কেজি ওজনের মাছ আছে। লোকজনও ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন এসব মাছ।
নবান্ন উৎসবেকে ঘিরেই প্রতি বছর মাছের মেলা বসে মহাস্থান মাছ বাজারে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের ঘরে ঘরে এ উৎসবের আমেজ যেনো অংশে পরিনত হয়েছে। পরিবারের অভিভাবকেরা তো কিনছেনই তার পরেও মেয়ে-জামাইসহ স্বজনদের বাড়িতে মাছ পৌছে দিতেও দেখা গেছে।

বিশালাকৃতির একটি মাছ হাতের ওপর তুলে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের মাছ বিক্রেতা আব্দুর রশিদ। তিনি ২৫ কেজি ওজনের ব্লার্ডকার্প মাছটির দাম হাঁকেন ১৬ হাজার টাকা।

২০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিগহেড ও সিলভার কার্প বিক্রি হচ্ছে। রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতাদের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। বগুড়া সদরের ভান্ডার পাইকার এলাকা থেকে এসে ওজন দরে ২৫০০ টাকায় বিগহেড মাছ কিনেছেন ভুট্রা মিঞা। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বারের চেয়ে এবার মাছের দাম একটু কম এবং সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব উৎসব মেলা ভবিষ্যতেও চালু রাখার অনুরোধ জানান মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।

ছবিঃ গোলাম রব্বানী শিপন

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button