ধুনট উপজেলা

আশ্রয়কেন্দ্র বেদখল, খোলা আকাশের নিচে বন্যার্তরা

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রটি দখলে নিয়ে পাকা সড়কের নির্মাণসামগ্রী মজুদ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ঠিকাদার। ফলে বন্যাদুর্গত এলাকার গৃহহীন পরিবারের লোকজনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় মিলছে না। তারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর খোলা আকাশের নিচে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে। বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙন এলাকা হিসেবে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় এ উপজেলার বড়বিলা গ্রামে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে। গত ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রটির ভবন নির্মাণ করা হয়। এই আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্যোগকালীন বিপদাপন্ন মানুষ ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ এবং প্রাণিসম্পদের সুরক্ষার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রটি বেদখলে থাকায় বন্যার্তরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পূর্বদিকে যমুনা নদী। প্রতিবছর যমুনা নদীর কূল উপচে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া রাধানগর চরের ৮৮টি পরিবারের বাড়িঘর যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গৃহহারা এসব মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। তাদের আশ্রয় হয়নি বড়বিলা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল হালিম বলেন, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের জন্য কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আশ্রয়কেন্দ্রটি ফাঁকা ছিল তাই হয়তো কেউ ব্যবহার করছে। বন্যার্তদের প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্রটি ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। ধুনট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিনাত রেহানা বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রটি কেউ ব্যবহার করে থাকলে তাকে সরিয়ে দিয়ে বন্যার্তদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কালের কন্ঠ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button