কাঁচা বাজারবগুড়া সদর উপজেলা

স্বপ্ন দেখছেন আমাদের বগুড়ার বোরো চাষিরা

উত্তরাঞ্চলের শস্যভাণ্ডার খ্যাত জেলা বগুড়া। ঋতু বৈচিত্র্যের ধারায় যখন যে মৌসুম তখন সেই মৌসুমের ফসল চাষ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কৃষকরা। তারই ধারাবাহিকতায় এখন তারা ব্যস্ত বোরো মৌসুমের ধান চাষ নিয়ে। তবে গেলো মৌসুমে প্রায় সব ধরনের ফসলের বাম্পার ফলন হলেও দামে বেশ মার খেয়েছেন চাষিরা।
তাই বলে তো আর কৃষকদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। কারণ ফসল ফলিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এ জন্য লাভ-লোকসানের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পুরোদমে বোরোর মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কৃষকরা। ফলে বরাবরের মতোই আশায় বুক বেঁধে বোরো চাষে আবারও মাঠে নেমেছেন চাষি।


বিশেষ করে গত রোপা-আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও দামে প্রচণ্ড মার খেয়েছেন তারা। বিঘা প্রতি প্রায় ৪-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লোকসান গুণতে হয়েছে তাদের। আবার আলুসহ বেশ কয়েক জাতের সবজির ক্ষেত্রেও লোকসান গুণতে হয়েছে অনেক কৃষককে।


বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনই তথ্য ওঠে আসে।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এ জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ২৮ হেক্টর জমি। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধান লাগানো হয়েছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, মৌসুমের শেষ দিকে এসে ধান লাগানোর কাজ গুটিয়ে ফেলতে কৃষকদের মধ্যে চলছে চরম তোড়জোড়। চলছে ধান লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুতির কাজ। অন্যদিকে চলছে বীজতলা থেকে চারা উঠানো। সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃষকরা শীত-রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে একের পর এক জমিতে চারা লাগিয়ে বিস্তীর্ণ মাঠ সবুজে ছেয়ে ফেলছেন তারা। এক কথায় দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।


কৃষক ফজলুল হক জানান, সব বছরই তো আর লোকসান হয় না। আবার সব ফসলেও লোকসান হয় না। অনেক বছর ভালো লাভ হবে। সেই লাভের আশায় বুক বেঁধে জমিতে ধান লাগানোর কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন এই কৃষক।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button