বগুড়া সদর উপজেলা

হিমালয়ের খুব কাছেই উত্তরের জেলা বগুড়া শহর ।

হেমন্তের মাত্র দু’ সপ্তাহ যেতে না যেতেই শীত চেপে বসতে শুরু করেছে

হিমালয়ের খুব কাছেই উত্তরের জেলা বগুড়া শহর । গত এক সপ্তাহ ধরে দুর্বা ঘাষের ডগায় শিশির বিন্দু বলতে শুরু করেছে শীত এসে গেছে। সূর্য পশ্চিমাকাশে হারানোর আগেই চারপাশ ঢেকে যায় ঘন কুয়াশার চাদরে। আন্তর্জাতিক সীমানা কখনোই মানে না প্রকৃতি, বাতাসে ভেসে বেড়ানো পাখি ও মাটিতে বিচরণ করা পশু। প্রকৃতি এবার অনেক আগেই সীমানা টপকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এটা চিরন্তন সত্য উত্তর দিক থেকেই দেশে প্রবেশ করে শীত। কিন্তু হেমন্তের মাত্র দু’ সপ্তাহ যেতে না যেতেই শীত চেপে বসতে শুরু করেছে। আর তারই চিত্র দেখা গেছে উত্তরের জেলা শহর ছাড়িয়ে উপজেলা পর্যায়ে।

পশ্চিমাকাশে সূর্য যখন প্রাই হারিয়ে যায় তখন আস্তে আস্তে দৃষ্টিসীমার দূরত্ব কমতে শুরু করে। আর গোটা রাত কাটে মাঝারি শীতে। প্রতিটি বাসা-বাড়ি এবং আবাসিক হোটেলে শীত নিবারণের জন্য শুরু হয়েছে পাতলা কাঁথা ও চাদরের ব্যবহার। আর কটা দিন পরই বাড়বে শীতের তীব্রতা। তাই ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ তোষকের কারিগরদের। বগুড়া শহরের লেপ তোষকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। শীত চেপে বসার আগেই লোকজনের তাড়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগরা।

সকাল থেকে মাঝরাত অবধি দোকানে বসে কেউ তুলা ছাটাই করছেন, কেউ তুলা দেখাচ্ছেন, কেউ কাপড় দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন মানের রং ও তুলা দেখিয়ে ক্রেতাদের মন জোগানোর চেষ্টা করছেন তারা। ক্রেতারা বিভিন্ন মানের তুলা ও কাপড় দেখে লেপ তোষকের অর্ডার দিচ্ছেন। পৌর শহরের লেপ তোষকের কারিগরদের আগাম ব্যস্ততার দৃশ্যই শীত আসার কথা জানান দিচ্ছে।বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীতের শুরুতেই বেচা-বিক্রি ভালো হয়। তাই চাহিদার কথা মাথায় রেখে, আগে থেকে অনেকে রাখছেন মজুদ করে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার লেপ-তোষক তৈরির মূল উপাদান কার্পাস তুলা ১৪০-১৭০ টাকা, বোমা তুলা ১২৫-১৬০ টাকা, চাদর তুলা ৮০-১৪০ টাকা এবং গার্মেন্টস তুলা ৩০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেপ তোষক এক কারিগর জানান, উত্তরাঞ্চলে আগেই শীতের দেখা মিলে। তবে এবার অনেক আগেই হাজির হয়ে গেছে। আর বেড়েছে ক্রেতাদেরও আনাগোনা। বর্তমানে কোন দোকানের মালিক ও কারিগরদের দম ফেলানোর সময় নেই। সকাল থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত ৩০-৪০টি লেপ তোষক তৈরি করা হয়।
দোকানের লোকজন জানান, শীতকালের পুরোটা সময় ধরে চলবে লেপ তোষক তৈরির কাজ।  এবার শুরুতেই লেপ তোষকের সরঞ্জামের দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে সময় গড়ালে দাম কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমানে প্রতিটি লেপ তোষক তৈরিতে খরচ পড়ছে ৮০০ থেকে ১০৫০   টাকা। আর জাজিম তৈরির খরচ হচ্ছে সর্বনিম্ন এক হাজার ৯০০ থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার ৫০০  টাকা। তবে ক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন গত বছরের তুলনায় এবার শুরুতেই লেপ তোষকের দাম কিছুটা বেশি।

 

  • রাকিবুল ইসলাম 

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button